সমাজসেবা অধিদফতর থেকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ ও সংশ্লিষ্ট বিধি, ১৯৬২ এর আওতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন প্রদান করা হয়ে থাকে। এ অধ্যাদেশে নিবন্ধন গ্রহণকারী সংস্থাগুলো ১৫টি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য নিবন্ধন নিয়ে থাকে। কার্যক্রমসমূহ হলো, শিশু কল্যাণ, যুব কল্যাণ, নারী কল্যাণ, শারীরিক ও মানসিকভাবে অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ, পরিবার পরিকল্পনা, সমাজবিরোধী কার্যকলাপ হতে জনগণকে বিরত রাখা, সামাজিক শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা, কারামুক্ত কয়েদীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন, কিশোর অপরাধীদের কল্যাণ, ভিক্ষুক ও দুস্থদের কল্যাণ, দরিদ্র রোগীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন, বৃদ্ধ ও দৈহিকভাবে অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ, সমাজকল্যাণকার্যে প্রশিক্ষণ এবং সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহের সমন্বয় সাধন।
সমাজসেবা অধিদফতর থেকে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, ফাউন্ডেশন এবং এতিমখানার মত জনকল্যাণমুখী এজেন্সিসমূহ নিবন্ধন দেওয়া হয়। এ সকল সংস্থার নিবন্ধন ও পরিচালনার বিষয়ে সমাজসেবা অধিদফতর থেকে সময়োপযোগী নির্দেশনা ও পরিপত্র জারি করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী এ সকল সংস্থা সরকারের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। সরকার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজ বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা করছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো কখনই সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, সরকার তাদের কাজে কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে না। সংস্থাগুলোকে সরকার তার কাজের অংশীদার মনে করে। যুদ্ধপরবর্তী দেশ গঠনে সংস্থাগুলো যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতার এ দীর্ঘ সময়ে তাদের অর্জন অনেক। এ সকল সংস্থার মাধ্যমে Charity বা philanthrophy প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে organized social work গড়ে ওঠে। সমাজের অবহেলিত, দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক সমাজকর্মের ভূমিকা অপরিসীম। একথা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দরিদ্র ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণমূলক কর্মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পেরেছে। বর্তমানে এ খাতে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী আত্মনিয়োগ করে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। সমাজসেবা অধিদফতর থেকে নিবন্ধিত এ সকল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মধ্যে যে সকল সংস্থা নিষ্ক্রিয় ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজে লিপ্ত ছিল সে সকল সংস্থার শুনানি গ্রহণের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে সংস্থা বিলুপ্ত করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিধি, ১৯৬২ সংশোধনপূর্বক নিবন্ধন ফি ২,০০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫,০০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এ দেশে কর্মরত সংস্থাগুলো ভিন্ন ভিন্ন আইন দ্বারা ভিন্ন কর্তৃপক্ষের নিকট হতে নিবন্ধন গ্রহণ করে কাজ করছে। সমাজসেবা অধিদফতর ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর, সমবায় অধিদপ্তর, রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি সনদ প্রদান করে থাকে।
স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ নিবন্ধন ও তত্ত্বাবধান
সমাজসেবা অধিদফতর হতে ১৯৬১ সালের স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) ৪৬ নং অধ্যাদেশের আওতায় বিভিন্ন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা/প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন প্রদান করা হয়ে থাকে। অধ্যাদেশে অনুযায়ী নিম্ন বর্ণিত ১৫টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদফতর হতে নিবন্ধন প্রদান করা হয়:
শিশু কল্যাণ; |
যুব কল্যাণ; |
নারী কল্যাণ; |
শারীরিক ও মানসিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ; |
পরিবার পরিকল্পনা; |
কারামুক্ত কয়েদীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন; |
নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে সামাজিক শিক্ষা, বয়স্কদের শিক্ষা ব্যবস্থা; |
সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ হইতে জনগণকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে চিত্তবিনোদন কর্মসূচী; |
কিশোর অপরাধীদের কল্যাণ; |
ভিক্ষুক ও দুঃস্থদের কল্যাণ; |
সামাজিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ; |
রোগীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন; |
বৃদ্ধ ও দৈহিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ; |
সমাজকল্যাণ কার্যে প্রশিক্ষণ; |
সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহের সমন্বয় সাধন। |
|
সেবা
কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। মাঠ পর্যায়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও শহর সমাজসেবা অফিসারগণ সংস্থার কার্যক্রম তদারকি করেন।
সেবাদান কেন্দ্র
প্রয়োজনীয় আইন, বিধি ডাউনলোড:
কার্যাবলি
নিবন্ধন প্রাপ্তির জন্য করণীয়
নিবন্ধন প্রাপ্ত সংস্থাসমূহের করণীয়;
অনিয়মের জন্য কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ
নাগরিকদের সহযোগিতার ক্ষেত্র
সেবা প্রদানের সময়সীমা
যার সাথে যোগাযোগ করতে হবে
একনজরে বরিশাল বিভাগের স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাঃ
ক্রমিক |
জেলার নাম |
নিবন্ধনকৃত সংস্থা সংখ্যা |
বিলুপ্ত সংস্থা সংখ্যা |
সক্রিয় সংস্থা সংখ্যা |
নিষ্ক্রিয় সংস্থা সংখ্যা |
১ |
বরিশাল |
1906 |
0 |
1735 |
171 |
২ |
পটুয়খালী |
647 |
110 |
436 |
101 |
৩ |
ভোলা |
476 |
157 |
241 |
78 |
৪ |
পিরোজপুর |
1132 |
255 |
627 |
250 |
৫ |
বরগুনা |
694 |
30 |
384 |
280 |
৬ |
ঝালকাঠি |
573 |
132 |
125 |
316 |
মোট= |
5428 |
684 |
3548 |
1196 |